স্বার্থপরতা নিয়ে উক্তি “স্বার্থপরতা” হল একটি মনোভাব যা কিছু ব্যক্তি বা সমষ্টির নিজস্ব লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করা বা নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা এমন একটি ধারণা। এটি সাধারণত নেতৃত্ব, ব্যবসা, রাজনীতি এবং আর্থিক কার্যক্রমে বেশ কমন একটি মনোভাব।
স্বার্থপরতার দুটি মূল ধারণা রয়েছে। প্রথমতঃ, নিজস্ব লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করা। এটি ব্যক্তির কাজের নির্ধারণের সুবিধা দেয় এবং তার উদ্যোগে কার্যকর হতে সাহায্য করে। দ্বিতীয়তঃ, নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা। এটি ব্যক্তির স্বপ্নসাধনে সহায়তা করতে পারে এবং তাকে আর্থিক অবস্থার দৃষ্টিতে স্বাধীনতা দেয়।
স্বার্থপরতা নিয়ে ১০ টি উক্তি
স্বার্থপরতা নিয়ে কিছু উক্তি হলঃ
“স্বার্থপরতা হল মানুষের অবিচ্ছিন্ন স্বাভাবিকতা এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক স্বাধীনতার উপস্থাপন।”
“স্বার্থপরতা নিজস্ব লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করা এবং নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা।”
“স্বার্থপরতা একটি স্বাভাবিক মনোভাব এবং এটি নির্বিশেষে মনুষ্যের প্রাণবন্ততার সাথে সম্পর্কিত।”
“স্বার্থপরতা নিজের সাফল্য এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।”
“স্বার্থপরতা ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানশীলতা বা নেতৃত্ব দক্ষতার প্রতীক।”
“স্বার্থপরতা ব্যক্তিদের পরিবেশ এবং সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
“স্বার্থপরতা নিজের পরিবার এবং সমাজের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করতে সক্ষম করে।”
স্বার্থপরতা নিয়ে কবিতা
স্বার্থপরতা নিয়ে কবিতা নিচে দেওয়া হলঃ
স্বার্থপরতা একটি বলে নাও,
এটি তো নিজের কাজের প্রতিফলন সাধন করতে পারে নাও।
কিন্তু স্বার্থপরতা বিপদে পড়লে,
জীবনের পথ উজ্জ্বল হবে না কখনো আর।
স্বার্থপরতা মানব হৃদয়ের প্রতিফলন,
আস্তে আস্তে জীবনের আলোক করে ভালোবাসা থেকে দূরে।
পরে সে দাঁড়িয়ে আসে আকাশের শুভকামনা দিতে,
আর বৃষ্টি সমুদ্রে খুঁজে নিতে।
কখনো জীবনে স্বার্থপরতা করো না,
দেখো তোমার হৃদয় জ্বলছে না কেমন প্রতিবিম্ব নির্মাণ করে।
একদিন সে তোমার সামনে থাকবে,
জীবন একটি নতুন প্রকাশ পাবে।
বেইমান মানুষ নিয়ে ১০ টি উক্তি
বেইমান মানুষ নিয়ে সাধারণত মানুষদের এমন উক্তিগুলো মনে হয়ে থাকেঃ
১. বেইমান মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখা হয় না।
২. বেইমান মানুষ কখনও সত্যি না বলে মন্দ করে।
৩. বেইমান মানুষ সামনে এসে হাত ফাঁকা করে দেখায়।
৪. বেইমান মানুষ সাধারণত লাভের জন্য সব কিছু করে।
৫. বেইমান মানুষ সামনের লোকদের পিছনে হাস্য করে।
৬. বেইমান মানুষ সত্যি বলতে পারে না।
৭. বেইমান মানুষ সামনের লোকদের হিংসা করে না কিন্তু নিজেকে হিংসা করে।
৮. বেইমান মানুষ সাধারণত লোকদের কাজ করতে হয় না।
৯. বেইমান মানুষ হঠাৎ বদলে যায় এবং সামনের লোকদের বিশ্বাস বিছানোর পর হারিয়ে যায়।
১০. বেইমান মানুষ সাধারণত লোকদের পাশাপাশি থাকে না বরং সামনের লোকদের পিছনে চলে যায়।
স্বার্থপরতা শেষ কথা
স্বার্থপরতা একটি মানবিক গুণ নয়। এটি বিশ্বের সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মানবকে অন্যকে ক্ষতি করে দেয় এবং কমবেশি লাভের জন্য অন্যকে মার্জিত করে নেয়। বরং সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য নিজেকে সমর্পণ করে এবং দুর্বলদের সাহায্য করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া সঠিক। একটি সমর্থ ও উন্নয়নশীল সমাজ কে গুরুত্ব দিয়ে স্বার্থপরতা থেকে মুক্তি পেতে হবে।
