বিতর নামাযে দোয়াই কুনুত না পড়লে, দোয়া কুনুত অর্থ সহ বাংলা উচ্চারণ আমল ফজিলত দোয়ায়ে কুনুত মুখস্ত করার সহজ পদ্ধতি, দোয়ায়ে কুনুত অর্থসহ ফজিলত, দোয়াই কুনুত আরবী সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়
আমা দের দেশে সাধার ণত তিন রাক আত বিতর নামায পড়া হয়। শেষ রাক আতে রূকুর পূর্বে বা পরে দোয়া এ কুনুত পড়া হয়। হানাফি মাজ হাবে দুই রাকা আতের পর তাকবীর দিয়ে দোয়াই কুনুত তেলাওয়াত করা হয়, এই পদ্ধতিটির দলিল দুর্বল।
দোয়া কুনুত অর্থ সহ বাংলা উচ্চারণ আমল ফজিলত
এক রাকাআতের বেশি পরলে একটানা পড়তে হবে, মাঝে তাশাহুদে বসা যাবে না, শেষ সূরা ফাতিহার সাথে সূরা মিলানোর পর দোয়াই কুনুত তেলাওয়াত করতে হবে।
বিতর নামাজ বা সালাতুল বিতর হল বিজোড় সংখ্যক রাকআত বিশিষ্ট নামাজ যেটি মুসলিমরা রাতে ইশার বা তাহাজ্জুদ নামাজের শেষে পড়ে। ইশার নামাজের পর থেকে শুরু করে ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় সালাতুল বিতর পড়া যায়
বিতর নামাজে দোয়াই কুনুত না পারলে
দোয়াই কুনুত অবশ্যই আপনাকে মুখস্ত করতে হবে কারন এইটা পড়া সুন্নত।
আর বিতরের নামাজ ওয়াজীব তাই অবশ্যই পড়তে হবে । বিতর নামাজে দোয়াই কুনুত না পারলে না পড়লে গুনাহ হবে।
আর নামা জের মধ্যে কোন সুন্নাত বাদ পড়লে সোয়া বের পরিমান কম হয়ে যায় সেটি
তো আমা দের সবা রই জানা আছে ।
প্রথম ২ রাকাত অন্য ফরজ নামা জের প্রথম ২ রাকা তের মতই পড়তে হবে।
৩য় রাকা তেই সুরা ফাতে হার পরে অন্য যে কোন সুরা মিলিয়ে পড়তেই হবে ।
এর পরই ছেলে রা আল্লাহু আক্বার বলে কান পর্যন্ত হাত উ ঠাবে এব মেয়েরা
কাধ পর্যন্ত তার পর আবার হাত বাধবে । এর পরই দুয়া কুনুত পরতে হবে।
এই পোষ্ট টির একে বারে নিচে দুয়া কুনুত দেওয়া আছে ,
যদি কোন ব্যাক্তি নামাজের কোন সুরাই জানা
না থাকে তারপ রেও নামাজের উদ্ধেশ্যে মসজি দে আসতে হবে এবং সুরা কেরাত
শিখতে হবে ,যত দিন সুরা কেরাত , নামা জের নিয়ম না শিখা হয় , আস্তে আস্তে
শিখতে হবে।
অনে কেই আছেন যারা নতুন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার সাথে সাথে ৫ ওয়াক্ত নামায কিন্তু তার জন্য ফরজ
হয়ে গেছে , কিন্তু এক জন নতুন তিনি তো কোন নিয় মই জান বেন এবং সুরাও
মুখস্ত নাই তিনি কিভাবে নামাজ পড়বেন ।
সেই ক্ষেত্রে মসজিদে আসবেন ,
বাকিরা কিভাবে পড়ে দেখবেন.. মসজিদের ইমামের সাহায্য নিবেন।
যারা নিয় মিত নামাজ পরেই বা সুরা কেরাত সম্প র্কে ভাল জানে তার কাছ থেকেই
শিখে নিবেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে “ না জানা দোষের কিছুই না তবে
না শিখতে চাওয়া অবশ্যই দোষে রই , তাই ইচ্ছা কৃত বাদ দেওয়া যাবে না
বা মুখ স্থ থেকে বিরত থাকা যাবে না , মুখস্ত করার চেষ্টা করতেই হবে ।
আরও পড়ুন দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
দোয়া কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত উচ্চারণ
সুরা ফালাক বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
দোয়ায়ে কুনুত আরবী উচ্চারণ :
اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْ تَعِ يْنُكَ وَنَسْ تَغْ فِرُكَ وَنُ ؤْمِنُ بِكَ وَنَتَ وَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَ يْكَ الْخَيْرَ وَنَشْ كُرُكَ وَلاَ نَكْفُ رُكَ وَنَ خْلَعُ وَنَتْ رُكُ مَنْ يَّفْ جُرُكَ – اَللَّهُمَّ اِيَّ اكَ نَعْبُدُ وَلَ كَ نُصَ لِّىْ وَنَسْ جُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْ فِدُ وَنَ رْجُوْ رَحْ مَتَ كَ وَنَخْ شَى عَذَابَ كَ اِنَّ عَذَابَ كَ بِالْ كُفَّ ارِ مُ لْحِ قٌ
দোয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ :
আল্লা হুম্মা ইন্না নাস্ তাঈ ’ নুকা , ওয়া নাস্ তাগ্ ফিরুকা, ওয়া নু ’’মিনু বিকা , ওয়া নাতা ওয়াক্কালু ‘ আলাইকা , ওয়া নুছনী আলাই কাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাক ফুরুকা , ওয়া নাখ লাউ ’, ওয়া নাত রুকু মাঁই ইয়াফ জুরুকা । আল্লা হুম্মা ইয়্যাকা না ’বুদু ওয়া লাকা নুসল্লী, ওয়া নাসজুদু , ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহ মাতাকা , ওয়া নাখশা – আযা বাকা, ইন্না আযা বাকা বিল কুফ্ফারি মুল হিক্ব ।
দোয়ায়ে কুনুত বাংলা অর্থ:-
হে আল্লাহ আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল, মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি অকৃ তজ্ঞ হই না, এবং যারা তোমারই অবাধ্য হয় তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের কে পরি ত্যাগ করি ।
হে আল্লাহ আমরা তোমা রই দাসত্ব করি তোমা রই জন্য নামায পড়ি এবং তোমা কেই সিজ দাহ করি , আমরা তোমা রই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি । আমরা তোমা রই রহমত , আশা করি এবং তোমার আযাব কে ভয় করি আর তোমার আযাব তো কাফের দের জন্যই র্নিধারিত ।
দোয়ায়ে কুনুত কখন পড়তে হয় ?
বিতর নামা জের তৃতীয় রাকা আতে সূরা ফাতি হার সাথে সূরা মিলা নোর পর দোয়াই কুনুত তেলা ওয়াত করতে হয়। বিভিন্ন মায হাব অনুযায়ী বিতর নামাযের পদ্ধতি নিয়ে মুসলিম দের মাঝে মতভেদ রয়েছে
