শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত
শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

শবে কদর নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন ও শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত , শবে কদরের দোয়া , শবে কদরের নামাজের নিয়ম, শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এর বিস্তারিত আলোচনা করব

এর বরকত অর্জন করতে হলে অবশ্যই একটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে,ইসলামী হিসাবে রাত শুরু হয় মাগরিব এর আজান এর সাথে। আজ মাগরিবের আজান এর পর ২১ রমজান শুরু।

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

আজ অবশ্যই অন্যান্য গুনাহ থেকে অবহিত থাকবেন,তারাবি পড়বেন ও ছোট দুয়া করবেন। উত্তম দুটি ছোট দুয়া নিম্নে ছবিতে পরে নিবেন। উঠতে,বসতে দুয়া করবেন। এবং নিম্নে দেওয়া তালিকা থেকে আমল গুলি করার চেষ্টা করবেন।

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত
শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত =+++++++++++++++

তারাবিহ নামাজ পড়ার পর কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন। নামাজের নিয়ত মুখে বলা জরুরি না। মনে মনে নফল নামাজের নিয়ত করলেই হবে। নামাজ পরবেন শেষে ১০ রাত্রি।না পারলে বিজোড় ৫ রাত্রি। শবে কদরের নামাজ অনান্য নফল নামাজের মত করে পড়বেন।

 

আরও পড়ুন     সূরাতুল কদর বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

      চাচার মৃত্যু নিয়ে উক্তি ইসলামের আলোকে

জানাজার নামাজের নিয়ম দোয়া আরবিতে উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

 

আপনি ইচ্ছা করলে সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে পরতে পারেন অথবা সূরা ইখলাস ৩ বার করে পরতে পারেন। সূরা ইখলাস দিয়ে পড়লেই বেশি ফজিলত পূর্ণ। শবে কদরের নামাজের কোন নিয়ম নেই।আপনি আপনার ইচ্ছা মত পড়তে পারেন।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এ রাত চেনার কিছু উপায়ও বলে দিয়েছেন

◾ মহিমান্বিত এ রজনী চেনার কিছু উপায় :

 

*. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

*. নাতিশী তোষ্ণ হবে । অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা যখন থাকবে না ।

* মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

* সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

* কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

* ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত
শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

◾শবে কদরে কোন দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন?

এ বিষয়ে বিশ্বনবি কি বলেছেন?

—হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞেস করলাম,

হে আল্লাহর রাসুল! আপনি অবশ্যয় বলে দিন , আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতেও হবে তা জানতে পারি , তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?

আল্লাহর রাসুল ! তুমি বলবে-

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন ; তুহিব্বুল আফওয়া ; ফা’ফু আন্নী।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল ; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন ; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন ।
(মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)

সুতরাং আমাদের উচিত, রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়া।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল গোনাহ মাফ ও সফলতা লাভে বিশ্বনবি সাঃ শেখানো শবে কদরের এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দোয়াটি হলো:
‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল্ হাম্দু লিল্লাহি ওয়া লা – ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার । ’

এ প্রসঙ্গে হযরত আলী (রা.) বলেন, ‘যে কেউ শবে কদরে সুরা কদর ৭ বার পড়বে আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রত্যেক বালা মুসিবত থেকে রক্ষা করেন। আর ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জান্নাত পাবার জন্য দোয়া করেন…। (নুজহাতুল মাজালিস, ১ম খণ্ড।

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত
শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

৪.মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার পূর্বে খাঁটি দিলে তওবা ইস্তেগফার করতে হয়। খাঁটি তওবার ৪ টি শর্ত:

ক. পূর্বের গুনাহ থেকে ফিরে আসা।

খ. গুনাহর জন্য মনে মনে অনুতপ্ত হওয়া।

গ. ভবিষ্যতে ওই গুনাহ আর না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ।

ঘ. বান্দার কোনো হক নষ্ট করে থাকলে যথাসাধ্য সে হক আদায় করে দেওয়া।

৫.আসুন শবে কদরের এ ভাগ্য রজনিকে হেলায় নষ্ট না করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইবাদতে মশগুল থাকি। আল্লাহ যেন সবাইকে লাইলাতুল কদর তালাশ করার এবং সে অনুয়ারী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম

লাইলাতুল কদর আরবি শব্দ, যার অর্থ হলো বরকতময়, সম্মানিত বা মহিমান্বিত যে রাত। ফারসি ভাষায় একে শবে কদরও বলা হয় । এই রজনীতেও মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারারাত নফল নামাজ, কোরাআন ও হাদিসের আলোকে জিকির, কবর গুলো জিয়ারত এবং নিজের কৃত কর্মের গুনাহের জন্য মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন ।

নামাজের নিয়ত আরবিতে

‘নাওয়াইতু আন উছা ল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লার রাকআ’তাই ছালাতিল লাইলা তিল কদর – নাফলি , মুতা ওয়াজ্জিহান ইলা – জিহাতিল্ কা’ বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ’।

(নিয়ত মনে মনে)

 

শবে কদরের নামাজ

লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের পদ্ধতি নেই।
লাইলাতুল কদরের রাতে নামাজ দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে পড়া যায়, যত মনোযোগ সহকারে পড়া যায় ততই ভালো।
আল্লাহ সুবহানাআলাতায়ালার প্রতি যত খুশু খুজুসহকারে নামাজ আদায় করা যায়, ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন।

এছাড়া ও বিশেষ কোনো কোন সূরা পড়তেই হবে-এটা লোকমুখে প্রচলিত আছে , তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।

এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করবেন।
বেশি বেশি দোয়া পড়বেন।
ইস্তেগফার পড়বেন।
তওবা করবেন।

এই রাতে ভালো কাজ করবেন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
এই রাতে যে দোয়া বেশি পড়বেন

‘ তিনি তাঁকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি । ’

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

 

শায়েখ মহির,মসজিদ আল হারাম এর ইমামের বর্ণিত আমলের একটি তালিকা ও লাইলাতুল কদর এর কিছু ধারণা নিম্নে দিলাম।

শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত
শবে কদরের নামাজের নিয়মাবলী নিয়ত দোয়া ও ফজিলাত

লাইলাতুল কদর এর কিছু ধারণা:

লাইলাতুল কদর সবচেয়ে পবিত্র রাত। এই রাত এ কুরআন প্রথম নাযিল হয়। এই রাত এ আপনার কদর লেখা হয়। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, “কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ও অধিক উত্তম”- সূরা আল কদর,আয়াত ৩।

 

আমল এর তালিকা:

১ম: প্রতিদিন এক বা এর বেশি দিরহাম (টাকা) সদকা করা। যদি দিনটি লাইলাতুল কদর হয় তবে আপনি ওই পরিমাণ টাকা ১০০০ মাস বা ৭৪ বছর সদকা করার সাওয়াব পাবেন

২য়: প্রতিদিন দুই রাকাত নফল নামায আদায় করা। যদি দিনটি লাইলাতুল কদর হয় তবে আপনি ১০০০ মাস বা ৭৪ বছর প্রতিদিন দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার সাওয়াব পাবেন

৩য়: প্রতিদিন সুরাতুল ইখলাস তিনবার পড়বেন। যদি দিনটি লাইলাতুল কদর হয় তবে আপনি ৭৪ বছর ধরে প্রতিদিন কুরআন খতম দেওয়ার সাওয়াব পাবেন। সুবহানআল্লাহ

এই লেখাটি অন্যের কাছে পৌঁছাবেন। হয়তো আমার পোস্ট শেয়ার করে না হক,কপি করে অন্য জায়গায় দিয়ে হলেও দিবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “যে অন্যকে ভালো কাজে উৎসাহ করে, সে ওই ব্যাক্তির সমান নেকী পাবে, এবং যে কাজটি করেছে তার জন্য কোনো অভাব থাকবে না”