ক্ষমা নিয়ে উক্তি,বিখ্যাত ইসলামিক মনীষীদের স্ট্যাটাস

ক্ষমা নিয়ে উক্তি
ক্ষমা নিয়ে উক্তি

ক্ষমা নিয়ে একটি উক্তি হল:”ক্ষমা করার প্রকৃতি সমস্ত প্রাণীদের উপর আপন্যস্ত এবং মহান গুণের চিহ্ন।”ক্ষমা নিয়ে উক্তি,

 

 

ক্ষমা নিয়ে ১০ টি উক্তি

বিনয় করি, এইচএসএমএস এ এই দশটি ক্ষমা নিয়ে উক্তি সরবরাহ করা যাচ্ছে:

“ক্ষমা একটি বড় শক্তি, এটি আপনাকে মুক্ত করতে পারে যা আপনার স্বাধীনতা দিয়ে অশুদ্ধ হওয়ার কারণে আপনার মাথায় পড়া প্রাণীদের সংখ্যা বের করতে সাহায্য করতে পারে।” – মহাত্মা গান্ধী

“ক্ষমা মানবতার উচ্চতম লক্ষ্য এবং একটি মহান গুণ।” – শ্রী চার্লস ডারউইন

“ক্ষমা একটি সুন্দর সুষম ফুল; আমরা আত্মবল এবং দুয়ারশক্তি প্রাপ্ত করতে পারি তার মাধ্যমে।” – মাহাত্মা বুদ্ধ

“ক্ষমা হল মানবতার শ্রেষ্ঠ ধর্ম।” – স্঵ামী ভিবেকানন্দ

“ক্ষমা একটি শক্তিশালী গুণ, এটি শক্তিশালী লোকের চেয়ে কোমল লোকের মধ্যে বেশি দেখা যায়।” – হেনরি উইডসওর্থ

“আমি জানি, যে আমি অবশ্যই ভুল করি, কিন্তু ক্ষমা নেওয়া একটি দৈবী গুণ।” – মাহাত্মা গান্ধী

“ক্ষমা একটি প্রাচীন পুতুল, যা জলের মতো আপনাকে প্রশান্ত করে এবং আপনার মানসিক বাড়িতে শান্তি এনে দেয়।” – পেলে কোয়য়াক

“ক্ষমা করা আপনার দ্বারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম, কারণ এটি আপনার হৃদয়ের বাড়িতে শান্তি এনে দেয়।” – ডেলাই লামা

“আমি একজন ভুল করি, আমি ভুল করেছি, আমি সব সময় ভুল করবো। কিন্তু আমি ক্ষমা করতে চাই, এবং আমি অন্যকেও ভুল করার দিকে প্রবৃত্ত করি।” – মাদাম ম্যারি কিউরি

“ক্ষমা আমাদের সব সময় নেতৃত্বের মাধ্যমে অগ্রসর করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করতে পারে এবং অপারাধ এবং ত্যাগের কারণে আমাদের মাথায় পড়া দুখের ভার হতে পারে।” – ডেলাই লামা

ক্ষমা নিয়ে উক্তি ()
ক্ষমা নিয়ে উক্তি ()

ক্ষমা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ইসলামিক সাহিত্যে ক্ষমা নিয়ে অনেকগুলি উক্তি পাওয়া যায়। এখানে কিছু প্রসিদ্ধ ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হল:

“ক্ষমা করার সময়ে এক কষ্টী পানি নিয়ে কল্পনা কর। তুমি কষ্টী থেকে পানি দুর্ভাগ্য মনে করতে পার, তবে তুমি কষ্টীর পানি কেটে কেটে দোষী হবে না।” – হজরত আলী (রাঃ)

“ক্ষমা করার সময়ে যদি তুমি দুঃখী হও, তবে তুমি অন্তর্মুখী হয়ে ব্যক্তিগত শান্তি অর্জন করতে পারো।” – ইমাম হুসাইন (রাঃ)

“ক্ষমা প্রকৃত সম্পদ, যা প্রদানকারীর মহান লাভের বিনিময়ে অর্জিত হয়।” – হদীসে কুদসী

“ক্ষমা করো, এবং অন্যদের প্রাকৃত অশুদ্ধি বা পাপের জন্য তাদের প্রশ্ন করবে না।” – হদীসে কুদসী

“যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ ক্ষমাকারী হয়ে দাঁড়াতে পারেন।” – হদীসে কুদসী

“আল্লাহ কৃপা করলে আমরা সকলে ক্ষমা করতে পারি। তাই সকলের প্রতি দয়ার ভাবনা রাখো।” – প্রফেত মুহাম্মদ (সা.)

“ক্ষমা করার ক্ষমতা শক্তিশালী হলেও, তা তোমার মধ্যে দৃঢ়ভাবে অবস্থিত করো এবং অন্যদের দুঃখ দিয়ে তাদের কষ্ট মিটাতে প্রচুর প্রয়োজনীয় হলেও।” – আল-কোরআন (সুরা আল-ইমরান, আয়াত 134)

“ক্ষমা করো এবং বিশ্বাস করো যে ক্ষমা করা তোমার প্রতি আল্লাহর অনেক প্রিয়।” – আল-কোরআন (সুরা আল-হাশর, আয়াত 10)

“আপনি ক্ষমা করুন এবং বিশ্বাস করুন যে, আপনি ক্ষমা করার জন্য প্রতি প্রয়াসে আল্লাহ আপনাকে বহুগুণ দরবারে অধিক দিয়ে দেবেন।” – আল-কোরআন (সুরা আল-ইমরান, আয়াত 160)

 

ক্ষমা নিয়ে উক্তি ১০ টি ইসলামিক 

বিনয় করে উল্লেখ করছি এই দশটি ক্ষমা সম্পর্কিত ইসলামিক উক্তি:

“আপনি মানুষের জন্য কিছু ক্ষমা করুন যখন তারা আপনার জন্য ক্ষমা করে না, কারণ আপনি দুনিয়া জীবনে প্রধানতঃ আল্লাহর জন্য করছেন।” – হদীসে কুদসী

“ক্ষমা করা একটি বড় গুণ, যা আল্লাহর প্রয়োজনীয় গুণ মুসলিমের সাথে দোস্তির মধ্যে সংকেত করে।” – হদীসে কুদসী

“আপনি ক্ষমা করুন, অপরাধ করা যেটি করা হয়েছে তা ছেড়ে দিন এবং আপনার রব এবং দয়া করে তার প্রতি তার মেহেরবানি অনুভব করুন।” – আল-কোরআন (সুরা আল-ইমরান, আয়াত 134)

“ক্ষমা করতে আমি আল্লাহর উত্তম সব নাম দিয়ে আমার হৃদয় খোলি, কারণ তিনি প্রায় সবকিছু ক্ষমা করে।” – হদীসে কুদসী

“ক্ষমা করার প্রকৃতি আল্লাহর মহান গুণ এবং মুমিনের মধ্যে দয়ার সৃষ্টি করে।” – হদীসে কুদসী

“আপনি অন্যের ক্ষমা করুন এবং আপনার মুকাবে বুধবারী রাতের মধ্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, তাকে প্রতিদিনের বর্তমান পুর্ববর্তী প্রতিযোগিতা তৈরি করার জন্য।” – প্রফেত মুহাম্মদ (সা.)

“ক্ষমা প্রকৃত সম্পদ, যা প্রদানকারীর মহান লাভের বিনিময়ে অর্জিত হয়।” – হদীসে কুদসী

“ক্ষমা করার প্রকৃতি হল মুমিনের মধ্যে দয়ার মহান লক্ষণ।” – প্রফেত মুহাম্মদ (সা.)

“ক্ষমা করা বা ব্যক্তিগত নফরাত থেকে পক্ষপাত এবং মানসিক বন্ধে উদার ভাবে মুক্তি প্রদান করতে পারে।” – হদীসে কুদসী

ক্ষমা নিয়ে কিছু কথা

ক্ষমা হলো একটি মুক্তির প্রক্রিয়া, যা অপরাধ বা অনৈতিক ক্রিয়ার প্রতি উপকারী ভাবে সত্যিকারে মন পুরোপুরি মুক্ত করে। এটি একটি মহান গুণ যা মানবতার সমস্ত ধর্মে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ক্ষমা করা হলো মনের শান্তি ও মনবল প্রাপ্ত করা এবং দুঃখের বার্তা সংক্ষেপে করার ক্ষমতা সহজ করে দেয়। ক্ষমা করা মানব সমাজে সদ্ব্যবহার, তোলের্য এবং মানসিক শোক থেকে মুক্তির মাধ্যমে মানবতা বৃদ্ধির সহায়ক হয়ে থাকে।

ক্ষমা করার কথা ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে ক্ষমা করার মতো অন্যকেও ক্ষমা করা উচিত মনে হবে। অন্যদের ক্ষমা করা সামাজিক সমন্বয় এবং পরস্পরের মধ্যে সহানুভূতির ভাবনা সৃষ্টি করে। ক্ষমা করার মাধ্যমে যোগাযোগে সমস্যা সমাধান এবং সমস্ত মানবিক সম্পর্কে একত্রীকরণ বৃদ্ধি হয়।

ক্ষমা করা কঠিন হতে পারে, কারণ মানবিক মানসিকতা প্রায় প্রতিযোগিতামূলক। কিন্তু ক্ষমা করা হলে আমরা দীর্ঘদিনের জন্য প্রেম, সম্মান এবং শান্তির ভালবাসা পাব। এটি আমাদের মানসিক শান্তি এবং আনন্দের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ক্ষমা করার প্রক্রিয়ায় আমরা অতিরিক্ত অবসর পাই, কারণ আমরা অশুদ্ধি এবং দুর্ভাগ্যের সাথে মুক্তি প্রাপ্ত করি। ক্ষমা করার মাধ্যমে আমরা অন্যদের দুঃখ মিটাতে সাহায্য করি এবং অন্তত মানবিক শান্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি।